আওয়ামী ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা রাসেল আহমেদ ও তার সহচরদের বিরুদ্ধে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নারীদের হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয় এবং প্রভাব খাটিয়ে তারা সাধারণ মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যত নীরব।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাহমিদা তানজিম নামের এক তরুণী ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখে ঢাকার মধ্য বাড্ডা বাজার এলাকায় তিনি ব্যক্তিগত কেনাকাটার জন্য গেলে রাসেল আহমেদ ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। তাহমিদা তানজিমের পারিবারিক সূত্র জানায়, রাসেল তার মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং তার মা’র চিৎকারে বাজারের লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আতঙ্কে কাঁপতে থাকা তাহমিদাকে সেদিন লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় এবং দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তাহমিদা ও তার পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্তব্যরত ওসি জানান, “ওরা সরকারদলীয় ছাত্রনেতা, ওদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না।”পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। পরে তাদের স্থানীয় ক্লাব সভাপতির অনুরোধে জিডি গ্রহণ করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার মুক্তমনা নাগরিক মোঃ আবুল কাশেম ফেসবুকে রাসেল আহমেদের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক একটি পোস্ট দেওয়ার পর, রাসেল ও তার সন্ত্রাসী চক্র তার ওপর হামলা চালায়।
গুরুতর আহত হলে আবুল কাশেম সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও তার পরিবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে, তথাপি রাসেল জামিনে মুক্ত থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, রাসেল আহমেদ ও তার সহযোগীরা শাসক দলের ছাত্রসংগঠনের পরিচয়ে আইনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে, যা দেশের আইনের শাসনের প্রতি চরম অবমাননা। যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।