বিয়ানীবাজার উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজ সেবক জলাল উদ্দিনকে মিথ্যা প্রতারনার মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মামলাটি বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল মিয়া বাদী হয়ে বিগত ১২ মার্চ সিলেট জেলা জজ কোর্ট এ রুজু করেছেন বলে জানা যায়।
এই মামলায় বাদী আবুল মিয়া দাবি করেছেন যে, জলাল উদ্দিনসহ তার পরিবার এর লোকজন তার গাড়ির ব্যবসা প্রসারের উদ্দেশ্যে ৫০ লক্ষ ধার নেন, কিন্তু পরবর্তীতে সেই টাকা পরিশোধ বা লভ্যাংশ না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপার এ কানাডা থেকে জলাল উদ্দিন জানান, তিনি জনাব আবুল মিয়ার কাছ থেকে কোনো টাকা ধার নেননি। এটি একটি মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা। মামলার উল্লেখিত তারিখে তিনি দেশেই ছিলেন না। এ ব্যপারে জলাল উদ্দিন এর মেয়ে তামান্না বেগম কানাডা থেকে আমাদের জানান, এই আবুল মিয়ার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মুনিম সাব্বির তাকে দেশে থাকাকালীন সময় নানান ভাবে হেনস্থা এবং নির্যাতন করেছে। যার ফলে তার বাবা সাব্বির এর বিরুদ্ধে সিলেট জেলা জজ কোর্ট এ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এই পাল্টা মামলা করেছেন।
তামান্না আরো বলেন, দেশে থাকাকালীন সময় সাব্বির এবং তার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান পল্লব তার বাবাকে নানান হুমকি এবং হেনস্থা করেছেন। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকবার সাহায্য চেয়েও তারা কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন তামান্না। এ মামলা নিয়ে এলাকাতে ব্যাপক সমালোচনা এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জলাল উদ্দিন এর একজন প্রতিবেশী জানান, সাব্বির এবং চেয়ারম্যান পল্লব এর নির্যাতনের মুখে তামান্না এবং তার বাবা সহ সমস্ত পরিবার এখন এলাকা ছাড়া। এই মামলা তাদেরকে হেনস্থা এবং পুলিশি নির্যাতন করার উদ্দেশেই করা হয়েছে যাতে তারা এলাকাতে আসতে না পারে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আবুল মিয়াকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি এ ব্যপারে কথা বলতে রাজী হননি। সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।