নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ভাড়া নেওয়া গাড়ি ব্যবহার করে গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির মালিক, সিটি রেন্ট-এ-কার-এর প্রোপ্রাইটর জাহিদ হোসেন, এই ঘটনার বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দাখিল করেছেন।
জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে গাড়ি ভাড়া ব্যবসার সাথে জড়িত। তার প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত।
গত ৭ মার্চ গভীর রাতে তিনি জানতে পারেন যে, তার ভাড়া দেওয়া একটি গাড়ি ব্যবহার করে একটি গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হাফেজ আবু বকর দুলাল এবং তার সহযোগীরা গাড়িটি ভাড়া নিয়ে একটি মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করেন। অপরাধ সংঘটনের পর তারা গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
উল্লেখ্য, হাফেজ আবু বকর দুলাল এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় এমপি এইচ.এম. ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত।
গাড়ির মালিক জানান, পুলিশ অপরাধের আলামত হিসেবে তার গাড়িটি জব্দ করেছে। তিনি তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতার স্বার্থে গাড়ির ভাড়ার ইতিহাস সংবলিত একটি রেকর্ড বই এবং সিসিটিভি ফুটেজ থানায় জমা দিয়েছেন।
জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেছেন, এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না এবং তিনি পুরো ঘটনার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। তার গাড়ি ভাড়া ব্যবসা তার আয়ের প্রধান উৎস এবং এর বিপরীতে ব্যাংক ঋণ রয়েছে। তাই তিনি তার গাড়ি দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও দাবি করেছেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই ঘটনার বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমরা অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা এই ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।