নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যোগ্যতা ও কঠোর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩ফেব্রুয়ারি প্রভাষক পদে নির্বাচিত হয়েও এক প্রার্থী স্থানীয়রা জনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন তাঁর ভাগ্নে আমিনুর রহমানকে ওই পদে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক এবং কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতিকে প্রভাবিত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, এ কাজে চেয়ারম্যান মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান করেন।
দুই মাস পর, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রার্থীকে দুঃখ প্রকাশ করে একটি পত্র পাঠিয়ে জানায় যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পরিবার থেকে আসায় তাঁকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়।
অপ্রাতিষ্ঠানিক সূত্রে জানা গেছে, গভর্নিংবডির সভাপতি এই ঘুষ লেনদেনের কারণে প্রার্থীর নাম বাদদেওয়ার সিদ্ধান্তনেন। যদিও লেনদেনের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানাযায়নি।
২০২৩ সালের ১০এপ্রিল, নির্বাচিত প্রার্থী বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তখন চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, প্রার্থীর বাবা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।
এ কারণে সরকার জামায়াত-সমর্থকদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রার্থী আপত্তি জানালে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁকে হুমকি দেন যে, চাকরিতো দূরের কথা, তিনি সোনাইমুড়িতেই বসবাস করতে পারবেন না।
এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষিত মহল সহ সাধারণ মানুষ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়ের স্বার্থে সুষ্ঠু তদন্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।