শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

সিলেটে সন্ত্রাসী হামলায় যুবক আহত

নিজস্ব সাংবাদদাতা: / ১৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩

সিলেটের এয়ারপোর্ট এলাকায় এক ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন দীপাঞ্জন চক্রবর্তী নামে এক যুবক।

জানা গেছে, তিনি সম্প্রতি সামাজিকভাবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একাধিকবার মতপ্রকাশ করেছেন। দীপাঞ্জন সমাজের প্রচলিত বর্ণব্যবস্থার বিরোধিতা করে শর্মিষ্ঠা দাস নামের একজন নিম্নবর্ণের নারীকে ভালোবেসে বিবাহ করে, যা স্থানীয় ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এসব ঘটনায় তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও তার আত্মীয়-স্বজনের অসন্তোষের কারণ হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি রাতে তার নিজ বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন দীপাঞ্জনের চাচা কানু চক্রবর্তী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা আলম খান মুক্তি। তারা তার বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং তাকে জোরপূর্বক একটি কাগজে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দীপাঞ্জন চক্রবর্তী স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা তাকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তার বাম হাত গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে তার মা ও স্ত্রী প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন দীপাঞ্জন। তার অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীপাঞ্জন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তার এই কার্যক্রমের ফলে স্থানীয় একটি চক্র ও আত্মীয়-স্বজনেরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, দীপাঞ্জনের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা ও দীপাঞ্জন-এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।


আরো সংবাদ পড়ুন...