বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, গুদামঘরে আগুন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা- অভিযোগের তীর আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার: / ৩০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

বিগত ২০ মে, ২০২৩ তারিখে এক ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক ঘটনার সাক্ষী হলো বড়লেখা বাসী। স্থানীয় আতর ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী শাকিল আহমেদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয় এবং তার গুদামঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। অনেকেই এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা হিসেবে দেখছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন রাতে দুটি গাড়ি শাকিল আহমেদের গুদামের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রায় ১০ জন সশস্ত্র লোক হাতে হকি স্টিক, পেট্রোল ভর্তি বোতল এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে গুদামে হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় শাকিল আহমেদের এক কর্মচারী বাধা দিতে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং শাকিল আহমেদকে হকি স্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা গুদামে থাকা মালপত্র ভাংচুর করে এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়, যার ফলে বছরের পর বছর ধরে গড়ে তোলা ব্যবসায়িক বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র মতে, এই সহিংসতার পেছনে একটি চলমান দ্বন্দ রয়েছে, যা শাকিল আহমেদ ও এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা নাজমুল ইসলাম এর মধ্যে চলছে। শাকিল আহমেদ বার বার নাজমুল কতৃক তার পারফিউম ব্যবসায় জোরপূর্বক অংশীদারিত্ব চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি ও তার পরিবার ক্রমাগত হুমকি ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছিলেন। তিনি একাধিকবার পুলিশকে অভিযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হাসপাতাল থেকে ৩০ মে, ২০২৩ তারিখে ছাড়া পেয়ে শাকিল আহমেদ বলেন, “এটা শুধু আমার ব্যবসার ওপর হামলা নয়, এটা আমার জীবনের স্বপ্ন ধ্বংসের চেষ্টা। আমি বারবার পুলিশের কাছে গিয়েছি, কিন্তু আমার কথা
কেউ শোনেনি। এখন আমার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, স্বাধীন ব্যবসায়ীদের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সহিংসতা বেড়ে চলেছে।

এ ব্যাপারে কয়েকবার ফোন দিলেও জনাব নাজমুল ফোন ধরেননি। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ তারা পাননি।


আরো সংবাদ পড়ুন...