বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী আবদুর রহমান সেন্টুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় বিতর্কিত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ভিন্নমত দমন ও হয়রানির নতুন নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মামলাটি বিগত ০৮ আগস্ট ঢাকা ৪১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ যুবলীগ এর প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জিমি ঢাকা জেলা জজ কোর্ট এ রুজু করেছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য যে, শওকত আলী ঢাকা দক্ষিণ এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন এর মামাতো ভাই।
সূত্রমতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও তার সহযোগীদের সঙ্গে আবদুর রহমানের নানান বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। আবদুর রহমান এর আগেও একাধিকবার হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, যা নিয়ে তিনি একটি মামলাও করেছেন।
এ বিষয়ে কানাডা থেকে আবদুর রহমান জানান ,এটি একটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন মামলা কারণ মামলার উল্লেখিত দিন এ তিনি দেশেই ছিলেন না।
তিনি আরো জানান, কাউন্সিলর রতনসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে তথ্য দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ মামলা দেয়া হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আনীত এই অভিযোগগুলো মানবাধিকার কর্মী ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক এবং ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর মাধ্যমে আবদুর রহমান সহ তার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আবদুর রহমানের স্ত্রী রুনা রহমান জানান ,আমার স্বামী দেশ এ থাকাকালীন সময় নানান নির্যাতন এবং হামলার শিকার হয়েছেন এবং প্রাণভয়ে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনেকবার সাহায্য চেয়েও কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী।
আবদুর রহমানের পরিবার ও আত্মীয়রা এই মামলার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে আইন সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে শওকত আলী এবং কাউন্সিলর রতন এর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।