বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

“হাইপ্রোফাইল হত্যা মামলায় নতুন প্রমাণ উদ্ঘাটন করলেন সাব-ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন”

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা: / ২৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা – আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নুরুল হক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড় নিয়েছে, কারণ সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ নুরুল আমিন, যিনি বর্তমানে কাফরুল থানায় কর্মরত প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলাটিতে নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন, যা দলীয় আরেক প্রভাবশালী নেতা আব্দুস সামাদ-এর সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেয়।

তদন্তে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে এস আই নুরুল আমিন একটি গোপন প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যেখানে সম্ভাব্য উদ্দেশ্য এবং সাক্ষীদের জবানবন্দির মাধ্যমে সামাদ-এর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ আছে। অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী, এস আই আমিন ঘটনাস্থলের ফরেনসিক প্রমাণ এবং আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন, যা ঘটনা প্রবাহ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই তথ্য ফাঁস এমন এক সময়ে ঘটলো যখন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য জনসাধারণের চাপ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, নুরুল হক, যিনি ঢাকার একজন পরিচিত রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। জুলাই মাসের শুরুতে এক রহস্যজনক পরিস্থিতিতে নিহত হন—যেটি ঘটেছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী লীগ সম্মেলনের কয়েক দিন আগেই।

আমাদের প্রতিনিধিকে- নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “নুরুল আমিন হচ্ছেন অল্প কয়েকজন সৎ কর্মকর্তার একজন। তিনি তদন্তে হস্তক্ষেপ ঠেকাতে বহু চাপের মুখেও নতি স্বীকার করেন নি।” এদিকে, রাজনৈতিক ও পুলিশ মহলে গুঞ্জন উঠেছে যে এসআই আমিন অভ্যন্তরীণ চাপ ও বহিরাগত হুমকির মুখে পড়েছেন, যেগুলো আব্দুস সামাদ-এর সংশ্লিষ্টতা আড়াল করার জন্য এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পুলিশের সদর দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় আমরা মন্তব্য করতে পারছিনা।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবিলম্বে তদন্ত কর্মকর্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার দাবি করেছে।

এখনও পর্যন্ত মামলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তবে সূত্র বলছে, প্রমাণ আরও দৃঢ় হলে এস আই আমিন শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন। এই মামলাটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, কারণ এটি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার সংগ্রামের একটি প্রতিচ্ছবি।


আরো সংবাদ পড়ুন...