অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের চারটি তলার প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, আগুন লাগার কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।
আব্দুল মান্নান জানান, ভবনটি সংস্কারযোগ্য কিনা তা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শন করা হবে। আর সংস্কারের যোগ্য হলেও সেই সংস্কার কার্যক্রমে কতদিন সময় লাগবে তা নিরীক্ষা সাপেক্ষে জানানো যাবে।
এদিকে রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছিলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তদন্তকাজের অংশ হিসেবে কমিটি প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কিছু আলামত দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তারা যদি প্রয়োজন মনে করেন, কিছু আলামত দেশের বাইরে পাঠিয়েও পরীক্ষা করা হতে পারে।
গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৭ নম্বর ভবনে। আগুনে এই ভবনে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতে বড় ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির ক্ষতিগ্রস্ত তলাগুলো আপাতত ব্যবহার করার সুযোগ নেই। এ জন্য অস্থায়ীভাবে বিকল্প অফিস করছে মন্ত্রণালয়গুলো।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ঘটনার তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের প্রধানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।